অডিয়েন্স খুজে পাওয়া এবং কোম্পানির কালচারকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার বিশিষ্ট মার্কেটিং অস্ত্র হলো সামাজিক মাধ্যম। কিন্তু, অনেকেই এই মাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে সফলতা অর্জন করতে পারছে না। এমনকি ২০১৪ সালের নভেম্বর এ একটি গবেষনায় পাওয়া যায় যে, যারা পছন্দের ব্র্যান্ডটি সামাজিক মাধ্যমে চায় এবং যারা প্রকৃতপক্ষে কোন ব্র্যান্ডকে অনুসরন করে তাদের মধ্যে ৩৫ থেকে ৬৫ শতাংশ পার্থক্য। অনুসারীরা সেখানে আছে, আর কোম্পানিও থাকুক সেটাই চায়। গবেষণার পাশাপাশি সফল না হওয়ার কারনগুলিও আবিষ্কার করা হয়। নিচে ধারনা দেওয়া হলো:
১. অনুসারীরা যেখানে চায়, কোম্পানি সেখানে নাই
অনুসারীরা নানা প্ল্যাটফর্মে পছন্দের কোম্পানির উপস্থিতি চায়। অধিকাংশরাই চায় পছন্দের ব্র্যান্ডটি ফেসবুকে থাকুক। একই গবেষনায় দেখা যায় যে, ৮৪ শতাংশ রেসপন্ডেন্টই ফেসবুকে চায়, টুইটারে চায় ৬৪ শতাংশ। দ্বিতীয় রানার আপ যেটি একটু চমকপ্রদ। এটি গুগল নয়, ইন্সটাগ্রাম নয় এমনকি পিন্টারেস্টও নয়- শুধমাত্র ইউটিউব। এ্যাকাউন্ট খোলার সময় বিবেচনা করতে হবে অডিয়েন্স কারা এবং তারা কোন মাধ্যম ব্যবহার করে।
২. সম্ভাব্য অনুসারীরা জানে–ই না যে এ্যাকাউন্ট আছে
সামাজিক যোগাযোগ প্ল্যাটফর্মে শুধু এ্যাউন্ট খুলে বসে থাকলেই চলবে না। নিয়মিত আপডেট দিতে হবে, নতুন নতুন কন্টেন্ট পোস্ট করতে হবে এবং প্রত্যেকের সাথে ইন্টারেকশন থাকতে হবে। তদুপরি, হাবস্পটের গবেষনায় আরও পাওয়া যায়, অনুসারীরা কোম্পানিকে তিনটি বা চারটি প্ল্যাটফর্মে দেখতে আশা করে। কোম্পানির ক্ষেত্রে নোট করা গুরুত্বপূর্ণ: সব প্ল্যাটফর্মেই যাওয়ার প্রয়োজন নেই। বস্তত, সব মাধ্যমে যাওয়ার চেয়ে অল্প মাধ্যমে একাউন্ট খুলে ভালোভাবে ব্যবহার করা উত্তম।
৩. অনুসরন করার কোন কারন নেই
কোন কারনে আপনার পেজ বা চ্যানেলকে অনুসরন করবে? তারা কি আনন্দ পাচ্ছে? তাদের কাঙ্খিত জিজ্ঞাসার জবাব কি তারা পাচ্ছে? অন্যরা যা পারছেন না তা আপনি কি করতে পারছেন? অনুসারীদের ব্যক্তিগতভাবে অন্তর্ভুক্ত হতে সামাজিক মাধ্যমকে ব্যবহার করুন। উদাহরনস্বরুপ: জাপ্পোস ফেসবুক ফ্যানদের দিচ্ছে এক্সক্লুসিভ সব কনটেন্ট। টি-মোবাইল কাস্টমারদের জিজ্ঞাসার জবাব দিতে সামাজিক মাধ্যমকে ব্যবহার করে।
৪. সব প্ল্যাটফর্মেই একই কন্টেন
যখন একই বা কপি পেস্ট কন্টেন্ট ভিন্ন মাধ্যমে পোস্ট করা হয়, কাস্টমারদের কাছে তা খুব সহজেই ধরা পরে যায়। যাহোক, যা ফেসবুকে পোস্ট করা হয়েছে, টু্ইটারে তা পোস্ট করা উচিত হবে না। যদি করা হয় অডিয়েন্সরা বলে দিবে যে একই বিষয় পোস্ট করা হয়েছে। ব্র্যান্ডিং হতে হবে দৃঢ়বদ্ধ কিন্তু আলাদা পোস্ট।
৫. অতি রোবটিক এ্যাকাউন্ট
কন্টেন্টগুলো যদি সবই প্রমোশনাল ও আজগুবি হয়, তখন ফ্যানদের বিরক্তি চলে আসবে। কোম্পানিকে অবশ্যই বাস্তব এবং সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে সতর্ক হতে হবে। সামাজিক মাধ্যমের উত্তম অংশ হবে মজা বা রসাত্বক কন্টেন্ট। যেমন- পিজা হাট তাদের টুইটার এ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে কৌতুক শুনাতে, ব্যবহারকারীদের সাথে কথোপকথন তৈরি করতে এবং ইন্টারেকশন বাড়াতে।