কাজ সম্পাদনের উপর নিজস্ব-চিন্তা বা কথা বলার ব্যাপক প্রভাব রয়েছে যা আপনি সবসময় না-ও বুঝতে পারেন। ভুল করাতে কোন দোষ নেই। কিন্তু ভুলের পর নিজেকে কী বলেন সেটাই হলো ব্যাপার। সেল্প-টক (যে চিন্তাভাবনা আপনার অনুভুতিতে রয়েছে) পারে আপনার নেতিবাচক দিকগুলো অতিরঞ্জিত করতে অথবা ভুল করা থেকে সৃজনশীল কাজে এগিয়ে নিতে।
নেতিবাচক সেল্প-টক হলো অবাস্তব, অপ্রয়োজনীয় এবং আত্নপরাভুত করার প্রকৃয়া। এটি আবেগের নিম্নস্তরে নিয়ে যায় যা থেকে আপনি বেড়িয়ে আসতে পারবেন না বা আসলেও খুব কঠিন হয়ে যাবে। সকল স্ব-আলাপই গুরুত্বপূর্ণ বিশ্বাস দিয়ে নিয়ন্ত্রিত। সফলতার পথে অস্পষ্ট কিন্তু শক্তিশালি ভূমিকা পালন করে কারন লক্ষ্য অর্জনেও সহায়তা করে আবার পিছনে ঠেলে দিতেও পারে।
এখনও পর্যন্ত সাধারন ও বিষাক্ত হিসেবে বিবেচিত পাচটি বিশ্বাস আবিষ্কার করা হয়েছে যেগুলো অন্যান্য যে কোন ড্রাইভার থেকে বেশি ভুমিকা পালন করে।
বিষাক্ত বিশ্বাস–০১: পারফেকশন বা পরিপূর্ণতা= সফলতা
প্রকৃতিগতভাবেই মানব জাতি ভ্রমপ্রবন (ভুল করার প্রবণতা) । পরিপূর্ণতা অর্জন যখন আপনার লক্ষ্য হবে, কী অর্জন করেছেন তা উপভোগ করার পরিবর্তে, পূর্ণতা অর্জনে ব্যর্থ হয়ে সবসময় বিফল হওয়ার মধ্যেই থেকে যাবেন।
বিষাক্ত বিশ্বাস– ০২: আমার ভাগ্য পূর্বনির্ধারিত
অনেক মানুষই তাদের জীবন কাটিয়ে দেয় অযৌক্তিক ধ্যান ধারনা নিয়ে যে তাদের সফলতা বা ব্যর্থতা আগে থেকেই নির্ধারিত। এ ব্যাপারে কোন ভুল করা যাবে না, ভাগ্য নির্ধারনের বেশিরভাগই আপনার হাতে। মাঝে মাঝে জীবন আপনাকে কঠিন কার্ডটিও খেলতে বলতে পারে এবং অন্যান্য সময়ে টেক্কা দিয়ে খেলবেন। সব কার্ডকে কাজে লাগানোর ইচ্ছাই নির্ধারন করবে সর্বোপরি সফলতা অথবা বিফলতা।
বিষাক্ত বিশ্বাস– ০৩: আমি ‘সবসময়ই এটা করি’ কিংবা ‘কোন সময়ই এটা করি না’
জীবনে এমন কিছুই নেই যা আপনি সবসময়ই করেন বা কখনই করেন না। আপনি কোন কিছু অনেক বেশি করতে পারেন, আবার না ও করতে পারেন। কিন্তু ‘সবসময়’ কিংবা ‘কখনই না’ এর ভিতরে বন্দি করে ফেললে তা হবে স্ব-দু:খের কারন। এটি আপনাকে বিশ্বাস করাবে যে, আপনার নিজের উপর কোন নিয়ন্ত্রন নেই এবং কখনও পরিবর্তন হবে না। কখনও এর ভিতর নিমজ্জিত হবেন না।
বিষাক্ত বিশ্বাস– ০৪: যখন মানুষ ভালো বলে তখনই আমি সফল
যে কোন মুহূর্তের ব্যাপারে মানুষ কী ভাবলো সেটা দেখার বিষয় নয়। কারন, আপনি ভালো কী খারাপ করছেন সেটা তারা ঠিক করার কেউ না। অন্যরা কী ভাবছে তার প্রতি প্রতিক্রিয়া জানানোটা বন্ধ করা কঠিন, কিন্তু তাদের মতামতকে আপনি পরামর্শ হিসেবে নিতে পারেন। আপনার ব্যাপারে কী ভাবছে সেটা দেখার বিষয় নয়, নিজের মূল্যবোধই আসল।
বিষাক্ত বিশ্বাস– ০৫: আমার অতিত= আমার ভবিষ্যত পুন:ঘটিত ব্যর্থতা আত্নবিশ্বাসকে কমিয়ে দিতে পারে এবং এটা বিশ্বাস করতে কষ্ট হবে যে এর চেয়েও ভালো ফলাফল ভবিষ্যতে করা যাবে। অনেক সময়ই দেখা যাবে, এই ব্যর্থতা ঝুকি নিতে এবং নতুন কিছু চেষ্টা করতে কঠিন পরিস্থিতি সৃষ্টি করে দিচ্ছে। মূল্যবান যে কোন কিছু অর্জন করতে গেলে, কিছু ঝুকি নিতে হবেই এবং ব্যর্থ হলেও আবার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার প্রবণতা থাকতে হবে।