তো, বছরের এক চতুর্থাংশ সময় পেরিয়ে গেলো। তাই এখনই একটু যাচাই করা যাক মার্কেটিং এর ট্রেন্ডগুলো।
কী কী কাজ করছে, কী কী করছে না এবং কী কী উন্নত করতে হবে।
প্রত্যেক মার্কেটিং ম্যানেজার এবং সেলস ডিরেক্টরের অক্লান্ত চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সেলস টিমকে নতুন নতুন লক্ষ্যে পরিচালনা করা এবং নতুন লিড/ব্যবসায়/ক্রেতা ধরা।
বিনিয়োগের উপর রিটার্ন বাড়ানোর জন্য সবসময় চাপ থাকে। সুতরাং, আপনি কি সাম্প্রতিক কৌশল প্রয়োগ করছেন নাকি আগে প্রযোগকৃত এবং পরিক্ষিত পদ্ধতিতেই আছেন যা অতীতে কাজ করেছে?
নিচের তথ্যালোচনায় একটি সুন্দর গবেষনার ফলাফল আলোচনা করা হবে। মার্কেটিং প্রফেসর এর “দ্য বেস্ট ওয়েজ অব ফাইন্ডিং নিউ কাস্টমার” শিরোনামে প্রকাশিত গবেষণায় এটি পরিষ্কার হয় যে; যদিও বর্তমানে ইনবাউন্ড মার্কেটিং নেতৃত্ব দিচ্ছে, আউটবাউন্ড মার্কেটিং এর চেয়ে অন্য কোন কিছুই কার্যকরি নয়।
কন্টেন্ট মার্কেটিং ই কি রাজা?
অনলাইন বিভিন্ন ব্লগে দেখবেন অনেক কন্টেন্ট মার্কেটিং এর পরামর্শদাতা আছেন। এবং এও দেখবেন ইনবাউন্ড লিড নেয়ার কৌশল প্রযোগ করার একটি প্রবণতা। লিড নিতে শতকরা ৭১ ভাগ মার্কেটারই কন্টেন্ট মার্কেটিং করে থাকেন।
আমাদের মতে, কন্টেন্ট মার্কেটিং লিড/নতুন কাস্টমার পেতে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে, কিন্তু, বি টু বি ব্যবসায়ে আউটবাউন্ড মার্কেটিং কৌশল সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
এটি খুবই ভালো লক্ষন যে, আপনি যদি সবচেয়ে সাম্প্রতিক কৌশল এ পথিকৃত হন। যেমন, উন্নত মানের কন্টেন্ট তৈরি করা, আপনার শিল্পে নিজেকে লিডার হিসেবে প্রতিষ্টিত করা; এসবকিছুর জন্যও আপনার বিক্রয় এবং মার্কেটিং কার্য্যক্রম প্রয়োজন।
বি টু বি ব্যবসায়ে বিক্রয় বৃদ্ধির সবচেয়ে দ্রুত এবং কার্যকরি পন্থা হলো আউটবাউন্ড মার্কেটিং কৌশল।
কন্টেন্ট মার্কেটিং প্রকৃত বিজ্ঞান নয়
কিছু কিছু অনুচ্ছেদ টার্গেট কাস্টমারদেরকে আকৃষ্ট করতে সমর্থ হয়; কিন্তু আপনার সৃষ্ট খুব অল্প পরিমান কন্টেন্ট বিস্তৃর্ণ জনসংখ্যাকে আকৃষ্ট করতে পারে। এবং এক্ষেত্রে বিষয়বস্তু প্রাসংগিক বা সময়মাফিক হতে হবে এমন কোন কথা নেই, কিছু কিছু পোস্ট পড়ে পাঠক এমনিতেই আনন্দ পায় এবং ভালো হিট পায়।
যদি “কিলার কন্টেন্ট” আগে অনুমান করতে পারতেন, কন্টেন্ট মার্কেটিং তাহলে অনেক সহজ হয়ে যেত। কিন্তু প্রকৃত সত্য হলো আপনাকে নতুন নতুন আইডিয়া আবিষ্কার করতে হবে এবং চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। কখনই বলতে পারবেন না আপনি সঠিক ফরমুলাটি পেয়ে গেছেন।
আউটবাউন্ড মার্কেটিং ব্যতিক্রম
ইনবাউন্ড মার্কেটিং প্রায়ই ধীরগতিতে কাজ করে।
আউটবাউন্ড কৌশলে, দ্রুত ফলাফল পাওয়া যায়। সিস্টেমেটিক এবং প্রমানিত পদ্ধতিতে দ্রুত এবং ভবিষ্যদ্বানী করে ফলাফল পাওয়া যায়।
এ প্রসঙ্গে কোল্ড কলিং ২.০ এর আবিষ্কারক আরন রোজ বলেন,
নিভুলতা হলো, যদি বিক্রয় বাড়াতে চান, বিক্রয়কর্মীরা কেমন সেটি গুরুত্বপূর্ণ নয় অথবা তাদের বিক্রয় কৌশল কেমন সেটিও নয়। যেটি ব্যবসায়কে দ্রুত বর্ধন করে (অথবা করে না) এবং মানসম্মত পাইপলাইন তৈরি করে সেটিই গুরু্ত্ব বহন করে।
বর্তমান লিড জেনারেশনে, আউটবাউন্ড টিম কোওয়ান্টিটি এবং কোওয়ালিটির উপর ব্যাপক নিয়ন্ত্রন এনে দিতে পারে। এভাবে আপনার বিক্রয় সীমা দ্রুত অতিক্রম করতে পারবেন।
একটি গবেষনায় দেখাগেছে যে বিটুবি ব্যবসায় সবচেয়ে বড় যে চ্যালেঞ্জটির মুখোমুখি হয় সেটি হলো নতুন কাস্টমার/লিড খুজে নেয়া। প্রায় ৭৮% ব্যবসায়ীরাই এর পক্ষে মত দিয়েছেন।
বিটুবি লিড জেনারেশন এর কোন পদ্ধতিটি সবচেয়ে কার্য্যকরি
গবেষনায় দেখা যায় যে ইনসাইড সেলস সবচেয়ে বেশি লিড এনে দেয়। তার পরেই রয়েছে ইভেন্ট আয়োজন। তারপর সবচেয়ে কামেল হলো টেলিমার্কেটিং। বানিজ্যমেলা, কনফারেন্স ইমেইল মার্কেটিংও গুরুত্ব বহন করছে।
উপরের পদ্ধতিগুলোকে যখন আমরা ক্যাটাগরিতে ফেলি, লিড জেনারেশনের জন্য আউটবাউন্ড মার্কেটিং কৌশলই ফলপ্রসু প্রমান করে।
যদিও আমরা দেখতে পাচ্ছি সামাজিক যোগাযোগের সাইটগুলো ততোটা সার্থক না, যাহোক তুলনামুলকভাবে লিংকডইনই ভালো ভুমিকা রাখে।
মনে রাখা উচিত যে, বিটুবি লিড পাওয়াটাই বিজ্ঞান নয়। অন্য ব্যবসায়ে যেটি ব্যবহার করে সফল হয়েছে, আপনার শিল্পে তা নাও হতে পারে। অতএব, অনুসন্ধান ও পরীক্ষা চালিয়ে যান এবং ২০২১-২০২২ সালকে সবচেয়ে উষ্ঞতম বছরে রুপান্তরিত করুন।
It is reserve