সফল মার্কেটার হতে হলে জানতে হয় কাস্টমাররা কিভাবে চিন্তা করে এবং কেন করে।
তথ্য উপস্থাপন কিভাবে করলে বিক্রি বৃদ্ধি পেতে পারে সে সম্পর্কে জ্ঞান রাখতে হয়।
অন্যথায় কমপেলিং কন্টেন্ট তৈরি করা কষ্টসাধ্য হয়ে যায়।
কন্টেন্ট তৈরির পূর্বে কাস্টমারের সাইকোলজি বুঝতে পারলে, সেলস বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
এই পোস্টে এরকম তিনটি নিউরো মার্কেটিং কৌশল সম্পর্কে আলোচনা করা হবে যা বড় বড় ব্র্যান্ড এ্যপ্লাই করে মার্কেটে লিডিং পজিশনে রয়েছে।
লিমিটেড এডিশন
এ যুগের কনজুমাররা এক্সক্লুসিভ আইটেমের প্রতি আকৃষ্ট বেশি। লিমিটেড এডিশনের মাধ্যমে আপনি কাস্টমারকে অফার করছেন exclusive, স্পেশাল অর পারসোনাল কিছু।
সো আর্লি এডাপ্টার কনজুমার গ্রুপ এ প্রোডাক্টের প্রতি আকৃষ্ট হবে। যে পোশাকটি আমি পরেছি সেটি যেন অন্যরা না পড়তে পারে।
অথবা কম লোক পরতে পারে। এরকম ট্রেন্ড আমি আপনি সকলের ভিতরে লুকায়িত রয়েছে।
এক্ষেত্রে প্রোডাকশন ভলিউম কম হওয়ায়, প্রোডাক্ট প্রাইস ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ের জন্যই স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হতে পারে।
এরকম প্রোডাক্টগুলো হয় লিমিটেড সময়ের জন্য অথবা লিমিটেড নাম্বারের জন্য। ফ্যাশন ব্র্যান্ড এরকম ট্রেন্ডকে ফোকাস করে পোডাক্ট মার্কেটিং করতে পারেন।
যেমন: গাড়ির ব্র্যান্ড, ঘড়ি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান, পোশাক ব্র্যান্ড, ও বই প্রকাশন কোম্পানি।
এই স্ট্র্যটিজি এপ্লাই করে কেউ কেউ সফল হয়েছেন। আবার অনেক পোডাক্ট ফ্লপও করেছে।
সম্ভাব্য ফলাফল দুটির যে কোনটিই আসতে পারে সেটা মাথায় রেখে ক্যাম্পেইন রান করতে হবে।
ইভ্যালিকে এখানে রেফার করা যায় উদাহরণ হিসেবে। সাইক্লোন অফার নামে ওদের যে ক্যামেপইনটি হয়, সেটি সবসময় এভেইলেবল থাকে না।
লিমিটেড সময়ের জন্য এই অফার একটিভ থাকে যার জন্য ইন্টারেস্টেড গ্রুপ অধীর অপেক্ষায় থাকে। স্বল্প সময়ে বেশি বিক্রি হয়। একসক্লুসিভ বা লিমিটেড সময়ের জন্য হওয়ার কারনে এর প্রচারণা অনেক হয়েছে।
লোকজন এটি নিয়ে আলাপ আলোচনা করে। এবং সুযোগ লুফে নেয়ার চেষ্টায় থাকে। ফলাফল, বিক্রি বেড়ে যাওয়া। অফারগুলো সবময়ের জন্য থাকলে হয়তো কেউ এতটা আগ্রহী হতো না।
কাস্টমারের সফলতার গল্প
সফল কাস্টমারকে সম্পৃক্ত করে গল্প শেয়ার করা। এমন সব গল্প যা অফারকৃত প্রোডাক্টের সাথে সম্পৃক্ত।
প্রোডাক্টটি তাদের জীবনে কিভাবে প্রভাব ফেলেছে, কিভাবে তাদের উন্নতিতে অবদান রেখেছে, কিভাবে আনন্দিত করেছে এবং এটিকে স্পষ্ট করে প্রকাশ করা যে, পণ্যটি কিনে অমুক কাস্টমার অনেক কিছু অর্জন করেছে।
যখন অন্য কাউকে সন্তুষ্ট এবং সফল হতে দেখি তখন আমরা তাকে কপি করতে পছন্দ করি। এই কপি করাটাই হতে পারে প্রোডাক্টের সেলস বৃদ্ধির কারণ। ইতিবাচক মনোভাব ছড়িয়ে দিতে হবে এবং অডিয়েন্সকে বাস্তবতার ফিল দিতে হবে।
অন্যের উপকৃত হওয়া দেখে পটেনশিয়ালের মনে আকঙ্খা সৃষ্টি হবে।
প্রোডাক্ট লঞ্চের পূর্বে বাঝ ক্রিয়েট করা
বড় ব্র্যান্ডগুলোর দিকে একটু নজর দেওয়া যেতে পারে।
নতুন প্রোডাক্টির খবর লঞ্চের পূর্বে কেমন করে মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে দেয়। দেখার অনেক আগে প্রোডাক্টি সম্পর্কে শুনে থাকি।
রিলিজ হওয়ার অনেক আগে থেকেই এর প্রচার প্রচারণা চালায়।
অডিয়েন্সকে অগ্রজ্ঞান দিয়ে আগে থেকে প্রতিক্ষায় রাখে। নতুন পন্যটি কিভাবে একজিসটিং পন্য থেকে উন্নত মানের, কাস্টমারের জীবনে কেমন করে অবদান রাখবে এসব তথ্য মার্কেটে ছড়িয়ে দেয়।
অনেক বড় কিছু হতে যাচ্ছে, লাইফস্টাইলে বড় কোন পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে এরকম একটা হুজুগ রটিয়ে দেওয়া হয়।
উদাহরণ হিসেবে, আইফোনের কথা বলা যায়। কাস্টমাররা অনেক আগে থেকে অপেক্ষায় থাকে, কখন নতুন ভার্শনটি রিলিজ হবে।
এমন অনেক নিউজ এসেছে, রিলিজের দিনই স্টক আউট হয়ে গেছে। এরকম একটা স্ট্র্যাটিজি আপনার প্রোডাক্টের জন্যও এ্যপ্লাই করতে পারেন। সোস্যাল মিডিয়ার যুগে ব্যাপক এয়ারনেস ক্রিয়েট করা যাবে বলে আশা করা যায়।